হানাফী মাযহাব মতে রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু হতে উঠার সময় উভয় হাত তোলা
সুন্নাতের পরিপন্থী ও নিষেধ। কিন্তু মাযহাব অমান্যকারী ওয়াহাবীরা
এ দু’সময়ে উভয় হাত তোলে এবং এর উপর খুবই জোর দেয়।
প্রথম পরিচ্ছেদঃ= নামাযে রুকূতে যেতে এবং রুকূ হতে উঠতে উভয় হাত তোলা মাকরূহ এবং সুন্নাতের পরিপন্থী। এ প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদীস এবং মুজতাহিদ গণের ক্বিয়াস বর্ণিত আছে। আমরা ঐ সব বর্ণনা থেকে কিছু উপস্থাপন করছি।
হাদীস নং- ১-৪: ইমাম তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনে আবি শায়বাহ হযরত আলক্বামা (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেন: ‘তিনি বলেন, একবার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদের সামনে রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (পদ্ধতিতে) নামায আদায় করবো না? অতঃপর তিনি (হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) নামায পড়লেন এবং তিনি তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া আর কখনো উভয় হাত তোলেননি। ইমাম তিরমিযী বলেন, ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি.) এর হাদীসটি হাসান। এবং হাত না তোলার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনের ওলামায়ে কেরামের আমল রয়েছে। স্মর্তব্য যে, এ হাদীসটি কয়েকটি কারণে খুবই শক্তিশালী।
প্রথমতঃ এর রাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) যিনি সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বড় ফক্বীহ আলিম ।
দ্বিতীয়ঃ তিনি একদল সাহাবীর সামনে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামায পেশ করেছেন, আর কোন সাহাবী তা অস্বীকার করেননি । বুঝা গেলো, সকলেই তাঁকে সমর্থন করেছেন। যদি হাত উত্তোলন সুন্নাত হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম এর উপর অবশ্যই আপত্তি করতেন। কেননা তাঁরা সকলেই হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলা ইহি ওয়াসাল্লাম)এর নামায দেখেছিলেন ।
তৃতীয়তঃ ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে ‘যঈফ’ তথা দুর্বল বলেননি। বরং হাসান বলেছেন ।
চতুর্থতঃ ইমাম তিরমীযি বলেন, অনেক ওলামায়ে সাহাবা ও তাবেয়ীন উভয় হাত তুলতেন না। তাদের আমলের দ্বারা এ হাদিছের সর্মথন হলো ।
পঞ্চমতঃ ইমাম আবু হানিফা (রাদিঃ) যিনি যুগের জলীলুল কদর এবং আযীমুশশান মুজতাহিদ ছিলেন- তিনি এ হাদিসকে কবুল করেছেন এবং এর উপর আমল করেছেন।
ষষ্ঠতঃ সমস্ত উম্মতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদিসের উপর আমল রয়েছে।
সপ্তমত: এ হাদীসটি ক্বিয়াস ও বিবেকের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ, যা আমরা সামনে আরজ করবো ইনশাআল্লাহ। এ সব কারণে ‘যঈফ’ তথা দুর্বল হাদীসও শক্তিশালী হয়ে যায়। এ হাদীসতো নিজেই হাসান।
হাদীস নং- ৫: হযরত ইবনে আবী শায়বাহ হযরত বারা বিন আযিব (রাদ্বি) থেকে বর্ণনা করেন- قَالَ كَانَ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اِقْتَتَحَ الصَّلوةَ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ لَايَرْفَعَهَا حَتَّى يَفْرَغَ অর্থাৎ,‘হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায আরম্ভ করতেন, তখন স্বীয় উভয় হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর নামায থেকে অবসর হওয়ার পূর্বে হাত তুলতেন না। স্মর্তব্য যে, বারা ইবনে আযিব (রাদ্বি.) এর হাদিছটি ইমাম তিরমিযী এভাবে বর্ণনা করেছেন- فِى الْبَابِ عَنِ البَرَاءِ
হাদীস নং ৬-: ইমাম আবু দাউদ হযরত বারা ইবনে আযিব(রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেনঃ= قَالَ رَأيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفَعَ يَدَيْهِ حِيْنَ اِفْتَتَحَ الصَّلَوةَ ثُمَّ لَمْ يَرْفَعُهُمَا حَتَّى اِنْصَرَفَ অর্থাৎ,‘তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি যখন তিনি নামায আরম্ভ করেছেন, তখন উভয় হাত উত্তোলন করেছেন। পুনরায় নামায থেকে অবসর হওয়ার পূর্বে হাত তোলেননি।
হাদীস নং- ৭ তাহাবী সাইয়িদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেছেন: عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِىْ أَوَّلِ تَكْبِيْرَةٍ ثُمَّ لَايَعُوْد অর্থাৎ, ‘হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রেওয়ায়াত করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম তাকবীরে উভয় হাত তুলতেন অতঃপর তা আর কখনো করতেন না।দেখলেন তো অসংখ্য হাদিস ও ইজমা কিয়াছ দ্বারা প্রমানিত হল রুকুতে যাওয়ার আগে হাত তোলা সুন্নতের পরিপন্হি। বাঁচাও ঈমান বাঁচাও দেশ সুন্নীয়তের বাংলাদেশ।
প্রথম পরিচ্ছেদঃ= নামাযে রুকূতে যেতে এবং রুকূ হতে উঠতে উভয় হাত তোলা মাকরূহ এবং সুন্নাতের পরিপন্থী। এ প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদীস এবং মুজতাহিদ গণের ক্বিয়াস বর্ণিত আছে। আমরা ঐ সব বর্ণনা থেকে কিছু উপস্থাপন করছি।
হাদীস নং- ১-৪: ইমাম তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনে আবি শায়বাহ হযরত আলক্বামা (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেন: ‘তিনি বলেন, একবার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদের সামনে রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (পদ্ধতিতে) নামায আদায় করবো না? অতঃপর তিনি (হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) নামায পড়লেন এবং তিনি তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া আর কখনো উভয় হাত তোলেননি। ইমাম তিরমিযী বলেন, ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি.) এর হাদীসটি হাসান। এবং হাত না তোলার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনের ওলামায়ে কেরামের আমল রয়েছে। স্মর্তব্য যে, এ হাদীসটি কয়েকটি কারণে খুবই শক্তিশালী।
প্রথমতঃ এর রাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বি:) যিনি সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বড় ফক্বীহ আলিম ।
দ্বিতীয়ঃ তিনি একদল সাহাবীর সামনে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামায পেশ করেছেন, আর কোন সাহাবী তা অস্বীকার করেননি । বুঝা গেলো, সকলেই তাঁকে সমর্থন করেছেন। যদি হাত উত্তোলন সুন্নাত হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম এর উপর অবশ্যই আপত্তি করতেন। কেননা তাঁরা সকলেই হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলা ইহি ওয়াসাল্লাম)এর নামায দেখেছিলেন ।
তৃতীয়তঃ ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে ‘যঈফ’ তথা দুর্বল বলেননি। বরং হাসান বলেছেন ।
চতুর্থতঃ ইমাম তিরমীযি বলেন, অনেক ওলামায়ে সাহাবা ও তাবেয়ীন উভয় হাত তুলতেন না। তাদের আমলের দ্বারা এ হাদিছের সর্মথন হলো ।
পঞ্চমতঃ ইমাম আবু হানিফা (রাদিঃ) যিনি যুগের জলীলুল কদর এবং আযীমুশশান মুজতাহিদ ছিলেন- তিনি এ হাদিসকে কবুল করেছেন এবং এর উপর আমল করেছেন।
ষষ্ঠতঃ সমস্ত উম্মতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদিসের উপর আমল রয়েছে।
সপ্তমত: এ হাদীসটি ক্বিয়াস ও বিবেকের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ, যা আমরা সামনে আরজ করবো ইনশাআল্লাহ। এ সব কারণে ‘যঈফ’ তথা দুর্বল হাদীসও শক্তিশালী হয়ে যায়। এ হাদীসতো নিজেই হাসান।
হাদীস নং- ৫: হযরত ইবনে আবী শায়বাহ হযরত বারা বিন আযিব (রাদ্বি) থেকে বর্ণনা করেন- قَالَ كَانَ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اِقْتَتَحَ الصَّلوةَ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ لَايَرْفَعَهَا حَتَّى يَفْرَغَ অর্থাৎ,‘হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায আরম্ভ করতেন, তখন স্বীয় উভয় হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর নামায থেকে অবসর হওয়ার পূর্বে হাত তুলতেন না। স্মর্তব্য যে, বারা ইবনে আযিব (রাদ্বি.) এর হাদিছটি ইমাম তিরমিযী এভাবে বর্ণনা করেছেন- فِى الْبَابِ عَنِ البَرَاءِ
হাদীস নং ৬-: ইমাম আবু দাউদ হযরত বারা ইবনে আযিব(রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেনঃ= قَالَ رَأيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفَعَ يَدَيْهِ حِيْنَ اِفْتَتَحَ الصَّلَوةَ ثُمَّ لَمْ يَرْفَعُهُمَا حَتَّى اِنْصَرَفَ অর্থাৎ,‘তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি যখন তিনি নামায আরম্ভ করেছেন, তখন উভয় হাত উত্তোলন করেছেন। পুনরায় নামায থেকে অবসর হওয়ার পূর্বে হাত তোলেননি।
হাদীস নং- ৭ তাহাবী সাইয়িদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেছেন: عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِىْ أَوَّلِ تَكْبِيْرَةٍ ثُمَّ لَايَعُوْد অর্থাৎ, ‘হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রেওয়ায়াত করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম তাকবীরে উভয় হাত তুলতেন অতঃপর তা আর কখনো করতেন না।দেখলেন তো অসংখ্য হাদিস ও ইজমা কিয়াছ দ্বারা প্রমানিত হল রুকুতে যাওয়ার আগে হাত তোলা সুন্নতের পরিপন্হি। বাঁচাও ঈমান বাঁচাও দেশ সুন্নীয়তের বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment