Thursday 30 January 2014

মহানবী (স:)-এর ১২টি প্রিয় খাবার

প্রায় দেড় হাজার বছর আগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর পছন্দের ১২টি খাবার ও তাঁর গুণাবলী এখানে উল্লেখ করা হলো। এসব খাবার নবীজী (স:) আহার করতেন এবং দেড় হাজার বছর পর আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে নবীজী (স:) এর বিভিন্ন খাবারের গুণাগুণ ও উপাদান অত্যন্ত যথাযথ ও নির্ভুল, নিরঙ্কুশভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নবীজী (স:) এর খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্লি, খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, মধু, তরমুজ, দুধ, মাশরুম, অলিভ অয়েল, ডালিম-বেদানা, ভিনেগার ও পানি। খাবারের গুণাবলী এখানে উল্লেখ করা হলো:

এক: বার্লি (জাউ): এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের পীড়ায় উপকারী।

দুই: খেজুর: খেজুরের গুণাগুণ ও খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ রাখে। নবীজী (স:) বলতেন, যে বাড়ীতে খেজুর নেই সে বাড়ীতে কোন খাবার নেই। এমনকি সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আল্লাহর নবী।

তিন: ফিগস বা ডুমুর: ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজগুণ সম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী খাবার।

চার: আঙ্গুর: নবীজী (স:) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভাল বাসতেন। আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। এই খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির কারণে এটা থেকে আমরা তাত্ক্ষণিক এনার্জি পাই এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।

পাঁচ: মধু- মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে। মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য ভালো। খাবারে অরুচি, পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার ও মাউথ ওয়াশ হিসেবে উপকারী।

ছয়: তরমুজ- সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নবীজী (স:) তরমুজ আহারকে গুরুত্ব দিতেন। যেসব গর্ভবতী মায়েরা তরমুজ আহার করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও বৈজ্ঞানিক সত্য।

সাত: দুধ- দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত। দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন নবীজী (স:) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়, মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন এবং এর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।

আট: মাশরুম- আজ বিশ্বজুড়ে মাশরুম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এবং মাশরুম নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অথচ দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স:) মাশরুম চোখের জন্য ভালো এবং এটা বার্থ কন্ট্রোলে সহায়ক এবং মাশরুমের ভেষজগুণের কারণে এটা নার্ভ শক্ত করে এবং শরীর প্যারালাইসিস বা অকেজো হওয়ার প্রক্রিয়া রোধ করে।

নয়: অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ বহুমুখী। তবে আজ মানুষের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা ও বয়স ধরে রাখার জন্য যারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন তাদের দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স:) অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল ত্বক ও চুলের জন্য ভালো এবং বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে। এছাড়া অলিভ অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।

দশ: ডালিম-বেদানা: বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে এবং নবীজী (স:) বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ চিন্তা থেকে বিরত রাখে।

এগার: ভিনেগার- ভিনেগারের ভেষজ গুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। নবীজী (স:) অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভিনেগার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ আজকের এই মডার্ন ও বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সাফল্যের যুগে বিশ্বের বড় বড় নামি-দামি রেস্টুরেন্ট বিশেষ করে এলিট ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে অভিল অয়েল ও ভিনেগার এক সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।

বার: খাবার পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানির ভেষজগুণ অপরিসীম। দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স:) পানিকে পৃথিবীর সেরা ড্রিংক বা পানীয় হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান করতে বলেন।

HADEES-E PAAK

Hazrat Ma-aaz Bin Jabal Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Kehte Hain Ki Maine Ek Bar Shaitaan Ko Qaid Kerliya! Wo Bola Agar Aap Mujhe Chod De To Main Aapko Bada Umda Amal Bataoun! Maine Kaha Bata! Wo Bola Ki Agar Koi Insaan Raat Ko Sur-A-Bakrah Ki Aakhiri Aayatain Padhliya Kare To Hum Mayse Koi Us Ghar May Raat Bhar Nahi Ja Sakta!

(Tafsir-A-Nayimi)
(KAJH- Pg-460)

উপকারী কিছু হাদীস

 ১. “যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।“ (বুখারী)

২. “যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন ভাল কথা বলে নতুবা চুপ থাকে।“ (বুখারী)

৩. “একজন মানুষের একটি সুন্দর ইসলামী বৈশিষ্ট্য হল সে অযথা কাজ পরিত্যাগ করে।“ (মুওয়াত্তা মালিক)

৪.“যে তার কোন ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন।“ (বুখারী)

৫. “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে অনেক বিপদের মধ্য থেকে একটি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।“ (বুখারী)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য আল্লাহ্‌রই আনুগত্য

আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করে সে আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করে এবং যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যাচরণ করে সে আল্লাহ্‌রই অবাধ্যাচরণ করে। [সুনানে ইবনে মাজাহ]

নবীজীর থুথু মোবারক

হযরত উরওয়া বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন-"যখনই প্রিয় নবী (সঃ) থুথু মোবারক ফেলতেন,সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ না কেউ তা হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং থুথু মোবারক মুখে ও শরীরে মালিশ করে নিতেন।" ( বোখারী, ১ম খন্ড, অযু অধ্যায়, ১৬৮ )

খাইরুল উমাম

যেভাবে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম প্রথম থেকে আফজালুর রাসুল, অনুরূপ আমরা উম্মতে মোহাম্মদীয় প্রথম থেকে খাইরুল উমাম। আরশ-কুরসি সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্‌-তা'আলা আমাদেরকে সাইয়িদুল মুরসালিন রাসুলে পাকের উম্মত হিসেবে নির্বাচন করেছেন। যেমন আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেছেন- তোমরা শ্রেষ্ঠতম ( উম্মতে মোহাম্মদী ) ঐসব অম্মতের মধ্যে, যাদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে মানব জাতির মধ্যে, তোমরা সৎকাজের আদেশ দিচ্ছ এবং মন্দ কাজ থেকে বারন করেছো। এমনকি পূর্ববর্তী আসমানি কিতাব ও সহিফার মধ্যে আমাদের ফাজায়েল ও মানাকেবের বিশদ বিবরন ছিল। উম্মতে মোহাম্মদীকে কিয়ামত পর্যন্তের জন্য সর্বউত্তম উম্মত বানিয়েছেন আমাদেরকে পবিত্র কোরআন দিয়েছেন। আমাদের থেকে সিদ্দিক ,শহীদ,অলি,মুজাহিদ,ফকিহ-মুফতি,মুহাদ্দিস,মুফাসসির,আলিম,হাফেজ,বানিয়েছেন। এ সব নেয়ামত উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য সাইয়িদুল মুরসালিনের ওসিলায় হয়েছে। 

সাইয়িদুশ শুহুদ

সাইয়িদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন (নবী-রাসুলগনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ) নবী আখেরুজ্জামানের ওসিলায় আমরা সাইয়িদুশ শুহুদ, ওয়া সাইয়িদুশ শোহাদা' ( শ্রেষ্ঠ সাক্ষী ) হয়েছি। আমাদের সাক্ষীর বদলতে অন্য নবী রাসুলগন তাদের উম্মতের অভিযোগ ও মোকাদ্দামা হতে পরিত্রাণ পাবেন। তাদের উম্মতরা তাদের বিরুদ্দে কিয়ামত দিবসে অভিযোগ করে বলবে, হে আল্লাহ! আমাদের কাছে আপনি যে নবী পাঠিয়েছেন, উনি আমাদেরকে ঈমানের দাওয়াত দেননি। ফলে আমরা ঈমান আনতে পারিনি। আমরা যে ঈমান আনতে পারিনি, সেটা আমাদের অপরাধ নয়। বরং সেটা আপনার নবীর অপরাধ। তখন আল্লাহ ওই নবীকে ডাকবেন এবং বলবেন, তুমি কি ঈমানের দাওয়াত পৌঁছিয়েছ? তিনি (নবী) উত্তরে বলবেন, হ্যাঁ। তখন আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন তোমার পক্ষে সাক্ষী কে??
তখন তিনি উত্তর দিবেন হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মতগন। তখন তারা ( উম্মতে মহাম্মাদি ) সাক্ষ্য দিবেন যে, নিশ্চয় তিনি দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। আর তখন আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাক্ষ্যকে সমর্থন করবেন।